Saturday, September 21, 2019

তন্ময় চট্টোপাধ্যায়














স্রোত 
 (  )     
আমার সকলটুকু ধরে আছে একটা খড়কুটো। 
ক্লান্ত দিনে খুঁজেছে ডুবুরি-বেশ ,শুকনো বালির তট ;
জাহাজ থেকে ছড়িয়ে পড়ে হলুদ সঙ্কেত
অভিশপ্ত বাতিঘরে।  
রাত নামে ঘুমন্ত আয়নায়;
স্থির কালো জল ছেড়ে উঠে আসা -প্রবাহমানে,
প্রবল আকর্ষণে। 
শ্বাপদের খেলা বুকে নিয়ে 
ঝিনুকের কাঁধে ভর দিয়ে যারা ভেসে পড়ে-
তাদের কাপুরুষ ভেবো না,
তবুও রক্তে থাকে ধার। 
মধ্যিখানে যেখানে জলেতে বিদ্যুৎ-
হে নাবিক বাড়াও হাত,
যদি দেখি শিয়রে সেই তুমিই দাঁড়িয়ে আছো,
বিছিয়ে দেবো হাজার এক খড়কুটো...

( ২) 
কেমন করে পারো তবে?
প্রশ্ন করেই দেখি ঘূর্ণিতে আরও মিশে যায় ঘূর্ণন। জলচর পাঠায় অমৃতের সন্ধান;
ভাঙা নৌকা পেরিয়ে শিউলি ভেসে যায়। 
মূর্তি বানাও পাড় ভাঙা মাটি দিয়ে,
যতো আঙুলের ছাপ আরও স্পষ্ট গোধূলিতে;
ভেসে যায় ছেঁড়া জামা কুলঙ্গি চাল মাটির কলস,
ফুল নিক্ষেপ করে মেঘেদের হাত, অঞ্জলি শেষে। স্বপ্ন তীব্র হয়, সূক্ষ্ম হয় রাতের কিনারে কিনারে;
ঘিয়ের প্রদীপ পথ চিনিয়ে দিকভ্রান্ত হাওয়াতে নিভে যায়। 
ডান হাতে জোয়ার, বাঁ হাতে ভাটা নিয়ে
কেমন করে এলে তবে?
প্রশ্ন করে দেখি,
তোমার চোখ মুখে চোরাস্রোত বয়ে যায়...

 (৩)

চাঁদ- জ্যোৎস্না -বিছানা -রোপণ -ফসল- ঝিনুক- কাজল -বই -বেত -শিরদাঁড়া, দশটা, নটা -চেকবই- ফান্ড- প্রজাপতি- মাসকাবারি ( চাঁদ- জ্যোৎস্না -বিছানা -রোপণ- ফসল- ঝিনুক- কাজল- বই -বেত- শিরদাঁড়া ) হাত ধরা- রাস্তা পার - চশমা -দাঁত -লাঠি -ভিক্ষা- স্যালাইন -অ্যান্টিবায়োটিক- কাঠ- ফুল -গঙ্গা- ছাই- স্রোত- ভোর - সূর্য....


No comments:

Post a Comment