Wednesday, September 25, 2019

পূবালী রাণা





দেখছি

আমার আকাল ও অনাহারের স্তনবৃন্ত ! শব্দের পরতে পরতে মুছে যাওয়া শিশিরের ঘ্রাণ ও নীলসুধা এখন পান করছে । কোনও এক প্রাচীন যাদুকরের মোহময়ী যাদুর স্পর্শে বিলুপ্ত নগরের মতো তুমি হারিয়ে গিয়েছ , বহুযুগ আগে । হারিয়ে যাওয়ার রক্ষাকবচ তোমার ব্যক্তিগত সম্পদ । বুভুক্ষু কাপালিকের কমন্ডুলের জল তাকে রক্ষা করতে পারে না খিদে থেকে , তেমন আমার আত্মমগ্নতা আমাকে রক্ষা করতে পারছে না এখন। 

ভোরের শিশিরের মতো মতো একটা জন্ম পেয়েছি , বাকিসব জোয়ারের জল । এসেছে , চলেও গিয়েছে । কবির রূপকের মতো আমি বিষ ও অমৃত নিয়ে মেঠোপথে হাঁটছি । আবর্তনের নিরিখে পিছিয়ে পড়ছি । পুরুষের দিগ্বিজয়ের কাছে পরাজিত হচ্ছি । কাটা ঘুড়ির দিকে দৌড়চ্ছি , চিৎকার করে বলছি - সুতোহীন এই ওড়াটাই তোদের স্বাধীনতা ।

ক্লান্ত , ক্লান্ত হয়ে সবুজ আলে শুয়ে পড়েছি । আমার বুকের উপর দিয়ে চলে গেছে আলকেউটে কামড়ায়-নি কেন ভেবে আশ্চর্য হতে হতে থেমে গেছি ... 
তবে কি আমাকে এখনও ভয় পায় বিষদেঁতোরা ! তখন পূর্বকোণে সূর্য জেগেছে কিশোরীর বেণীর মতো । চাষারা লাঙল কাঁধে মাঠে আসছে ।ভূমিকর্ষণের পর্ব এবার । মাটি'রা ক্রমশ জননী হয়ে উঠছে ... দেখছি ...

No comments:

Post a Comment