রনলেখাগুলি
......................
একটি বৃষ্টিঅরণ্য আমি পুড়িয়ে ফেলেছি
দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া একটি আহত মানুষ আমি তাঁকে ফিরিয়ে আনিনি
অভিবাসী ঠাসা যে নৌকোটি ডুবে গেছে
পালাতে পালাতে তার জন্যও আমি পেতে
দিইনি কোন জেটি
সাদাফেনা ভেজা বালুচর এসব দেখেছে
আর দাউ দাউ শিখার স্পর্শ লাল করে
তুলেছে সন্ধ্যার আকাশ
উত্থিত মঞ্চের গা ঘেঁষে শহরের কবিসভা
আর তেল চিটচিটে কবিদের মতো আমিও
লিখতে শিখেছি এসব তর্জমা
......................
একটি বৃষ্টিঅরণ্য আমি পুড়িয়ে ফেলেছি
দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া একটি আহত মানুষ আমি তাঁকে ফিরিয়ে আনিনি
অভিবাসী ঠাসা যে নৌকোটি ডুবে গেছে
পালাতে পালাতে তার জন্যও আমি পেতে
দিইনি কোন জেটি
সাদাফেনা ভেজা বালুচর এসব দেখেছে
আর দাউ দাউ শিখার স্পর্শ লাল করে
তুলেছে সন্ধ্যার আকাশ
উত্থিত মঞ্চের গা ঘেঁষে শহরের কবিসভা
আর তেল চিটচিটে কবিদের মতো আমিও
লিখতে শিখেছি এসব তর্জমা
দোনলা
দেশ বলল তুমি আমার নও
বন্দুকের নল বলল হাত তুলে
পেছন ফিরে হাঁটো, দ্বিজেন্দ্র বললেন
এমন দেশটি কোথায় পাবে তুমি
ঠিকানা বলল কোথায় তোমার পিনকোড
মরশুমের প্রথম দুপশলায় ফুলে ওঠা নদীও বলল রেশ টেনে- জোয়ারের জলে
এসেছিলে বুঝি! নাকি ভাসিয়েছিলো কেউ
খোসার মান্দাসে!
দেয়ালে ঝোলানো ঠাকুর্দার সাদা কালো ছবি, গোঁফ পাকিয়ে চোখের পলক না নামিয়েই তিনি বললেন- চলো কাঁধে দোনলা চাপিয়ে আমরা আবার বাঘ শিকারের গল্পের দিকে যাই...
দেশ বলল তুমি আমার নও
বন্দুকের নল বলল হাত তুলে
পেছন ফিরে হাঁটো, দ্বিজেন্দ্র বললেন
এমন দেশটি কোথায় পাবে তুমি
ঠিকানা বলল কোথায় তোমার পিনকোড
মরশুমের প্রথম দুপশলায় ফুলে ওঠা নদীও বলল রেশ টেনে- জোয়ারের জলে
এসেছিলে বুঝি! নাকি ভাসিয়েছিলো কেউ
খোসার মান্দাসে!
দেয়ালে ঝোলানো ঠাকুর্দার সাদা কালো ছবি, গোঁফ পাকিয়ে চোখের পলক না নামিয়েই তিনি বললেন- চলো কাঁধে দোনলা চাপিয়ে আমরা আবার বাঘ শিকারের গল্পের দিকে যাই...
রাতের বাতাসে
নির্ধারিত পচনের আগে ঘুম পাড়িয়ে রাখা
কাদামাটি, বায়োফ্রেন্ডলি মৃত মাংসের মতো
তাতে মিশে আছে পাড়াগাঁর মাসিপিসিদের
গান,মাহ শ্রাবণের পুঁথি....
সাঁকোর দুদিকে দুটি গল্পের পৃথিবী
জোড়া লেগে থাকা উপমার দেশ
সামানুপাতিক তাতে ভাগ হয়ে যাচ্ছে
কোষকলাগুলি
রাতের বাতাসে তবে কাকে
ফুঁ দিয়ে যাচ্ছে একটি বাঁশি
ভাগাড়ের মেমব্রেন ছিঁড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে
ঠাট্টা বোঝাই সব মরনোত্তর ট্রলি
নির্ধারিত পচনের আগে ঘুম পাড়িয়ে রাখা
কাদামাটি, বায়োফ্রেন্ডলি মৃত মাংসের মতো
তাতে মিশে আছে পাড়াগাঁর মাসিপিসিদের
গান,মাহ শ্রাবণের পুঁথি....
সাঁকোর দুদিকে দুটি গল্পের পৃথিবী
জোড়া লেগে থাকা উপমার দেশ
সামানুপাতিক তাতে ভাগ হয়ে যাচ্ছে
কোষকলাগুলি
রাতের বাতাসে তবে কাকে
ফুঁ দিয়ে যাচ্ছে একটি বাঁশি
ভাগাড়ের মেমব্রেন ছিঁড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে
ঠাট্টা বোঝাই সব মরনোত্তর ট্রলি
সন্ধ্যার ইলিউশন
কথা বলা শেষ হলে
আমরা দুজন দুদিকে চলে যাবো
হাওয়া এলে যেরকম পাতা উড়ে যায়
পরস্পর পিঠ ঠেকানো দুটি কাঠের চেয়ারে
এসে বসবে হালকা বাদাম খোসা...সন্ধ্যার ইলিউশন..মেরু প্রদেশের থেকে এসে
মেরুপ্রদেশের দিকে ফিরে যাবার
বৈদ্যুতিন নির্দেশ
শেষ হওয়া কথাদের পর ডুকরে উঠবে কিছু ঘাসের ভনিতা..মেরুপ্রদেশের হিম..আরো মিথ্যে মিথ্যে তারাদের কথা এক্জিট গেটে দাঁড়িয়ে থাকবে ভাবলেশহীন সন্ধ্যার অতিরিক্ত সারচার্জ
No comments:
Post a Comment