ফুঁ
নিশ্চিত যে, শব্দ ছাড়াই কবিতা লেখা যায়। কিন্তু আমি তা পারি না।
আমি যা পারি না, সেও অবলীল পৃথিবীতে ঘটে।
যেমন কারুর বউ নিয়ে ভেগে যাওয়া। এই পৃথিবী এমনই।
ভেগে যাওয়া থেকে ভাগ-বসানোর কথা মনে হয় বটে।
খুনও তো সম্ভব রক্তপাত বিনা। সূর্যাস্তের আগে
অনেক অনেক দিন পর আজ বৃষ্টিতে দুচোখ ধুয়ে, দেখি
একটি আঁচলে আঁকা ফুল ঝরে পড়ছে ধীরে, নিঃশব্দে
দূরে বসে থাকা ফড়িঙের ফুঁয়ে।
সরলা দেবী
একটু জটিল করে বলো। বলো, যাতে ধ্যানহীন
শাপলা-পাতাটিকেও জ্ঞানী বলে মনে হয়।
সবুজ সানাই ফেলে দিয়ে যেন পাখিরাও
ভাবে
সাপের বাঁশিতে
ছোঁ দেবার এই তো সময়।
সিঁড়িতে
আলতো ডিগবাজি
খেয়ে সরলা দেবীর
এক ফালি ছায়া যদিবা দাঁড়ায়
হাত ধ'রে—
বিড়ালের
সব কারচুপি
আজ ফাঁস হয়ে যায়
ইয়াবা-কুড়ানো ইঁদুরগুলিরে গ্রাস ক'রে।
কিন্তু
ছায়া কি ধরবে স্বয়ং কায়াকে জাপটে,
বাক্য
বুলাবে জিব বক্তার তিল-ঠোঁটে?
কবিতা
না হয় উৎরেই গেল, শেষ
পঙ্ক্তিতে
এসে
থামতেই যদি শব্দের মিল জোটে।
No comments:
Post a Comment