দুটি কবিতা
১
যেসব অস্থিরতা নিয়ে বড় হলে, মাঝে মাঝে তাদের পিঠে হাত
বুলিয়ে দিতে
ইচ্ছে করে তোমার, আর অমনি খুলে যায় এক শুভ্র কৌতুক
তখন তোমারই আদলে কারা যেন হেসে ওঠে
সেসব দিনে বাতাস বিপজ্জনক—রাতের শহর থেকে দূরে
কোনও নির্জন পাখিরালয়ে শুরু হয় অজস্র পাখার ঝাপট
যদিও আমাদের আবহাওয়া দপ্তর বোবা ও নিরীহ, এসব জানে না
কিছুই
যদিও সেসব রাতে কিছুতেই বেরোতে পারো না বাড়ি থেকে
ক্রমাগত পায়চারির ভেতর একসময় ফুরিয়ে যায় পা
জ্বলন্ত মোমবাতি থেকে গড়িয়ে নামে তোমারই স্বেদ
এমন অস্থিরতা, এমন কৌতুকের মাঝে নিথর বসে-পড়া
তোমার নিজস্ব নয়—যেন অন্য কোনও দেশে এসে
তুমি বিনিময় করতে চাইছ ব্যক্তিগত মুদ্রা
আর ওপার থেকে ধেয়ে আসছে অজস্র পাখার ঝাপট
২
এভাবে বারবার ভাষা পালটে জেগে উঠছ কেনও হলুদ ঈশ্বর
যেসব আত্মহত্যার কথা এতদিন সাজিয়ে রেখেছিলে, তাদের সাদা
ক্রশ
কেন লুকিয়ে রাখছ পরিত্যক্ত জাহাজের ভেতর
তোমার জন্মান্ধ গল্পগুলো থেকে আমি ঠিক সরে আসব একদিন
হাতের রেখা পালটে দেখিয়ে দেব তুমি কোনওদিন আসোনি আমার
কাছে
কোনওদিন দুহাঁটুর ভেতর মুখ রেখে জাপটে ধরনি চুলের মুঠি
একান্ত জ্বরের দিনে আর কিছুতেই চাইব না তোমার দীর্ঘ
ছায়ার নির্ভরতা
খুব ভালো লাগলো দাদা।প্রথম কবিতাটি আরো বেশি ভালোলাগা।
ReplyDeleteদারুণ লাগল সুদীপদা।'পায়চারির ভেতর হারিয়ে যায় পা'অসাধারণ উচ্চারণ। এছাড়াও হাতের রেখা পালটে ফেলার মধ্যেও ফুটে উঠেছে দৃঢ় প্রত্যয়। মুগ্ধতা।
ReplyDelete