উপকথা
মন্দিরে
গৌরাঙ্গ নাই, গেয়ে ওঠে পুরনো বাউল
আমিও
অনেক খুঁজি, হয়ত বা ননীলোভে বালককৃষ্ণের চোখ
পেয়ে
গেছে পুতনার অন্ধকার হাসি
মন্দিরে
তবুও যাই, দক্ষিণের হাওয়া বুকে
যশোদা
মায়ের পাশে বসি
শচীর
আঙিনা মাঝে, কৃষ্ণ নেই, নেই গোপাল, ননীর গুমর
তাকে
কি রেখেছে দূরে? দূরে কোনও বনের ভিতর?
তবুও
গৌরাঙ্গ নাই, পড়ে আছে সাদা ঠান্ডা কাপড়ের নীচে
সারি
সারি শিশুকৃষ্ণ, আবীরে রাঙানো
লাল সেলাম
পুরনো স্বপ্নের ডাকে আমিও ঘুমের কাছে দেখি
কিছু চিঠি পড়ে আছে,- ফ্যাকাশে ধুলোয়
দক্ষিণ, তোমার কাছে আমি কি চিঠির সব অক্ষর ফিরিয়ে
দিতে পারি? ঘন ঘন তারাখসা দেখি
স্থবির ট্রেনের দৃশ্য, মরচে
ধরে যাওয়া রেল
ঝোপ, যেন উঁকি মারবে বাঘ
তুমি কি ওখানে থাক? হে প্রেম, লিখনশৈলী,
কত মৃত্যু ছিল তুমি বোঝোনি কখনও
তোমার মলাট থেকে ভ্যাপসা এক রাজনীতির গন্ধ পাওয়া যায়;
আমিও দেরাজ খুলি, বাইরে বসন্ত আসে,
ভিতরে দক্ষিণ
ভালোবাসা থেকে লাফ দিয়ে নামে হেমন্তকুকুর
ওদিকে কয়েকশো শিশু দেখি খুন হয়ে গেল-
এও শুনি, বামপন্থা মৃত;
দক্ষিণ, তোমার কাছে রয়েছে কি দেওয়াল-লিখন?
রেডিও পিকিং?
না, তুমি বিশ্বাস করো, রেড বুক কখনও পড়িনি…
No comments:
Post a Comment