Saturday, September 21, 2019

রাজর্ষি দে





প্রান্ত শহর
*********
শহর প্রান্তের হ্যালোজেন বেয়ে
ঝরে পড়ে গুড়ো আলো
দুপাশে সারি সারি
চৌখুপি জানালার তেজ
মিইয়ে যাওয়া ফোটনগুচ্ছ
দুটো শরীরে সিন্থেসিস করে
কিন্তু এক মুঠো ঘাসেরও খাবার হয় না

খাবার না পেলে শরীর খাওয়া যায়
গলা ভেজাতে কী পান করব?
রক্ত?
এই প্রশ্নের ছায়ায় শুয়ে দেখি
শহর জুড়ে ঝড় উঠেছে
মধ্যভাগ থেকে যত সরে আসি
দ্যুতি কমে আসে
বিভাজিকা ধরে যত নামি
তৃষ্ণার ভাগ বাড়ে

শুধু অগ্নিলোভে এই ধুলোর শহরে মুখ গুঁজে দিই

---------
শিকার শিকারী
***************
মোবাইলের অলিতেগলিতে খুঁজে ফিরি স্বমেহন
জল না পাওয়া হরিণের মতন কস্তুরী-ফাঁদ ছড়িয়ে রাখি
দৈনন্দিনের পথে
ধরা দিক ধরা দিক
রক্ত-পাম্প-করা যন্ত্রের কথা পরে ভাবা যাবেখন!

দিনভর শঙ্খলাগা চাঁদের অফিস
হিলহিলে হিল তোলা স্বর্গের দ্বার
   (ছন্দের মা মাসি করেছি তা জানি)
খুল-যা-সিম-সিম
আরব্য রজনীর গুহা
চল্লিশ চোরে কী করে জানি না
আমায় প্লিস ডাইরেক্ট এন্ট্রি দিও

আছাড়িপিছাড়ি লম্পট হব
আমার এ উষ্ণ প্রস্রবণ শুষে নাও
মাথা খালি লাগে, লিখতে পারি না
রাস্তার ভাষায় টাকে বীর্য উঠে গেছে
ঠোঁট রেখে তুলে নাও ছোবলের বিষ
আমার গুণিন-মা হও; তুকতাকে ভরে দাও শূন্য আরকের থলি


No comments:

Post a Comment