সুকুমারীকে না–বলা কথা
৷৷ ১ ৷৷
আমায় বুঝায়ো না কিছু, একটি বাক্য শুনায়ো না আর,
সমাপ্তিরেখায় টেনে নিয়ে গিয়ে বেঁধে রেখো না শরীর ;
ঝড় উঠেছে সহসা, ধীবরকন্যারা ফেরে নি এখনও,
ঘরে আলো জ্বালাব, না এমনই জ্বলে থাকবে অন্ধকার?
আলো জ্বালাব না ঘরে, কেবলই জ্ব’লে থাকুক অন্ধকার,
যারা এখনও ঘরে ফিরে আসো নি, খঞ্জ পাঁচালীবিক্রেতা,
রান্নাঘরের পিঁপড়েগণ, ডাক দিয়ে যাই তোমাদের,
বলি,সাবধান, বিছানো রয়েছে ঐ, ঝড়ের মাত্রাজ্ঞান!
কোন্ আলো আবার জ্বালাবে ব’লে এসেছিলে সুকুমারি,
এর অন্য এক অর্থ রয়েছে জেনো, আলো নিভেও যায় ;
যা নেভে,না-ব’লে চিরতরে নিভে যায়, আপন খেয়ালে,
দেবী সাফো-র অবোধ্য লিখনমালার মতো নিভে যায় ৷৷
৷৷ ২ ৷৷
তুমি তারে দেখেছিলে কি না বোঝা দায়, লাল মেঝে চুপ,
জলের ছাপ শুকায়, তারা দেখেছিল কি না, বোঝা দায়৷
বৃক্ষসমাজে আমি তারে খুঁজেছিলাম কি না, বোঝা দায়,
আমি চক্ষুষ্মান কি না, প্রশ্ন ঘিরে পাখি সব করে রব।
একটা পুরাতন বছরের উদরে গিয়ে পড়লাম,
হাঁপালাম হাপরের মতো, চিঁহি স্বরে কত ডাকলাম,
হাতেপায়ে বেড়ি,তবু সামান্য চেষ্টায় গা এলিয়ে দিয়ে
দেখলাম,পুনরায় সন্ধ্যা নামছে ইছামতীর কোলে ৷
আকাশ আরও কালো ক’রে ঘরে ফিরছে ব্যস্ত পক্ষীকু্ল৷
কেবল একটা দালান আমাদের, ছোট্ট দু’টি ঘর;
সিঁদুরকৌটার নীচে একা ঘুমায় আমার চিরকুট,
আমি কী-কী পারি নি, মনে রাখার চেষ্টা করি, সুকুমারি৷৷
অসম্ভব ভালো লাগল।
ReplyDeleteগৌতম বসু-র কবিতায় একটি সুর আছে, নিমগ্ন স্রোতের মতো। তা ছন্দের চেয়ে গভীর। গৌতম বসুর সঙ্গে যাঁরা কথা বলেছেন, জানবেন তাঁরা যে তাঁর কথনেও থাকে নিরহংকার নম্র ভালোবাসার সুর।
ReplyDeleteএই কবির কবিতা প্রবন্ধ সমস্তই আমাদের অমনোযোগকে নাড়া দিয়েই চলেছে, হয়তো আমরা শুনতেই পাইনি। কবিকে নমস্কার।
কিন্তু একটি বিষয় আসোনি ফেরেনি এভাবেই থাকলে ভালো হত; আসে না কিন্তু আসেনি।
গৌতম বসু-র কবিতায় একটি সুর আছে, নিমগ্ন স্রোতের মতো। তা ছন্দের চেয়ে গভীর। গৌতম বসুর সঙ্গে যাঁরা কথা বলেছেন, জানবেন তাঁরা যে তাঁর কথনেও থাকে নিরহংকার নম্র ভালোবাসার সুর।
ReplyDeleteএই কবির কবিতা প্রবন্ধ সমস্তই আমাদের অমনোযোগকে নাড়া দিয়েই চলেছে, হয়তো আমরা শুনতেই পাইনি। কবিকে নমস্কার।
কিন্তু একটি বিষয় আসোনি ফেরেনি এভাবেই থাকলে ভালো হত; আসে না কিন্তু আসেনি।
গৌতম বসু বাংলা কবিতার বিশিষ্ট স্বর । এ স্বর বহু আত্মগত ধ্বনির এক প্রত্যাহৃত সমাহার
ReplyDelete