Saturday, September 21, 2019

সুন্দরম রু






পাখি উড়ে যাওয়া ছায়া

আজীবন একখানা ঘুম
আমাকে তাড়া করে বেড়ালো।
একটা ঘুম থেকে আরেকটা ঘুমের ভিতর
সেঁধিয়ে যাওয়া যেন, সুপারনোভা।

ভিতরবাটি খুঁড়তে খুঁড়তে নেমেছো বহুতল।
নিভু নিভু একখানা কুপি জ্বেলে
দেখ, ছায়া পড়েছে আলোর।
ঐ বসে আছ তুমি, কত আলোকবর্ষ দূরে!

একলা হওয়া ও প্রগাঢ় ঘুমের মধ্যে
সে খুঁজে পেয়েছে সরল দোলগতির সম্পর্ক।
এরপর কোনো জড় ধ্রুবক বাঁয়ে বসে,
তৈরি হবে, সাংসারিক পর্যাবৃত্ত অসমীকরণ।





সা রে গা মা পা

এলোমেলো হাওয়ার দিন এলো কি আবার?
তুমি কথা বলো কোন মৃত ভাষায়?
আরামাইক অথবা অসংস্কৃত প্রাকৃতে!
থম মেরে যাওয়াটাকে পৌঁছে দিচ্ছি প্রায় শিল্প-পর্যায় ।

হাতের কাজের কথা উঠলে, তবলার বোলের ভাষা মনে পড়ে...
গয়না বড়ি দিতেন মা, কাঁসার থালায় পোস্ত ছড়িয়ে।
রঙিন সুতো আর একখানি সোনামুখ সূচ বাহন করে
বুনে ফেলতেন আমাদের দুষ্টুমি, ছোটোলোকি, ফুরিয়ে
আসা দাঁতের মাজন, শীতে জমে যাওয়া নারকোল তেল,
বাবার অবোধ চেল্লামেল্লি, দুই ভাই'র হাজার বায়নাক্কা।

চিরটিকাল জীবনকুমারের মায়ের দেওয়া নাম বেইমানি।
দু'গাল পেতে থাপ্পড় খাওয়ায় তুমি বেঁটে মাস্তান!
গাধার পিঠে বোঝা, আগুনে তুষ, ন্যাড়াকে বেলতলায়
না দেখলে, এই আপনারাই বেশী অবাক হবেন না কি?




















No comments:

Post a Comment