চারটি কবিতা
শিশির
নদীর এপার থেকে দেখলাম
ওপারে,নির্জন পথের বাঁকে, তুমি
ফুটে আছ
আকাশে যত তারা রয়েছে
তারা কেউই তোমার পাশে এসে দাঁড়ায়নি
নদীও,এঁকেবেঁকে চলে যাচ্ছে মোহনার দিকে
শুধু একবিন্দু শিশির
লেগে আছে তোমার পাপড়িতে
তারা
নিজস্ব আলো বলতে যা আছে
তা আমি নিভিয়ে দিয়েছি
এখন অচেনা আঁধারে
ডালে ডালে ফুটে ওঠে
অচেনা চন্দ্রমল্লিকা
হাওয়া বয়, নিস্তরঙ্গ হাওয়া
হাওয়ার শ্রাবণ ছুঁয়ে
বাক্যের ভিতর ভাস্বর হয়
অচেনা রাত্রির তারা
পাখি
দিনের আঁধারে
রাতের আলোয়
পাখিরা আসে
পাখিরা কিচিরমিচির করে
ধুলো ও হাওয়ায়
পাখিরা ভেসে বেড়ায়
পাখিরা ক্রমশ পাখি হয়
অভিমান
পরিত্যক্ত বাড়ির গায়ে শ্রাবণ লেগে আছে
একটু একটু করে সেখান থেকে জল ঝরছে
ঝরে যাওয়া পাতাদের অভিমান নিয়ে
আমিও আসি এখানে,পরিত্যক্ত এই উঠোনে
এখানে ছিঁড়ে যাওয়া মাদুরে বসে
তোমার কথাই লিখি,লিখব
গৃহে না ফেরা পথিকদের কথাও
একদিন পিঁপড়েরা এইসব লেখা নিয়ে
চলে যাবে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে
অন্ধকার হয়ে যাওয়া দিগন্তপ্রান্তরে
No comments:
Post a Comment