দুটি
কবিতা
' শিকড়
'
বিড়বিড় করি, কোন
এক আয়নার সাথে । একেকটি দিন কেটে যায় । বলি, থেকে যাও ।
দৃশ্য জমা হয়, এদিকে শ্রাবণ আসন্ন । চলাচলের পথে টকে
যাওয়া কাদা । ধুয়ে যাবে জমা মাটি, যেভাবে আলগা হয়ে আসে
ঘাস । ভেসে যাবে । অথচ তুমি কী শান্ত ! এই স্থিরতার ভেতর ডুব দেবো ভাবি । ভাবি,
তোমার কী করে দুঃসহ কোন যন্ত্রণা নেই ! নিথর এত !
প্রবাহ
জানে না, জলের অতলে কোনদিকে মৃত্যু ও জন্ম
খেলা করে ।
' শিকড় - ৪ '
' শিকড় - ৪ '
রাত
এখন,
এভাবে লাইট জ্বালিয়ে রেখোনা | চোখ ধু ধু
করে | নেভাও | এত আলো অন্ধত্ব
আনে | অন্ধকার আনো, ডাকো ! অন্ধকার
লিখেছ কখনো? কী ভীষণ বিস্তার, মায়াময়
! অনিচ্ছুক প্রশ্ন খুলে আসে, দেওয়াল থেকে ঝুরঝুর করে ঝরে
পরে বালি । তারপর ভাঙা, চিকন খোদাই । কোথায় পালাবে ?
এই যে ঘরের পেছন ফেরা দীর্ঘশ্বাস , তৃষ্ণার্ত
ফুসফুস, যাবতীয় জমিয়ে রাখা জবানবন্দি আঁচর কাটে । তুলোর
চেয়ে হালকা অথচ কালো ।
আর
একটা গূঢ় সম্পর্ক,
ভাবনা বরাবর, চলাচলের সংখ্যাতীত বন্ধ
জানলা ধাক্কায় । ঘরে ঢুকে পড়ে ।
No comments:
Post a Comment