Monday, September 23, 2019

চন্দন ঘোষ





নলিনীকান্ত-২

নলিনীকান্তকে যতই তোমরা ক্যাবলাকান্ত বলে ডাকো না কেন, সে কিন্তু তার নামের মতো অতো বোকা বোকা নয়।

সেবার যে বৌদ্ধ সন্ন্যাসী এ বাড়িতে এসে মারা যান, অন্তিম সময়ে বাড়ির সব চালাক চালাক লোকগুলোকে বাদ দিয়ে সেই নলিনীকেই ডাকলেন। তারপর হাতের লাঠিটা তুলে শূন্যে ঘুরিয়ে নলিনীকে কী একটা 'কোয়ান' দিয়ে চোখ বুজলেন।

সবাই খুব হাসাহাসি করল। শেষে কিনা নলিনী! এরপর থেকেই নলিনী একটা মস্ত বড়ো স্প্রিং বানাচ্ছে।

জীবনটা চাকার মতো ঘোরে বটে তবে কিনা কোনোদিনই আর একই বিন্দুতে ফিরে আসে না।


নলিনীকান্ত-৩


কাল স্বাধীনতা দিবস। নলিনীকান্তও স্বাধীনতা চায়। মিথ্যের থেকে। খবরের কাগজ থেকে। চুকলিকাটা সহকর্মীদের থেকে। কাটমানিখোর আর হাতপাতিয়াদের থেকে। দেয়ালে পেচ্ছাপকরিয়ে আর ধর্ষণকারীদের থেকে। শ্লোগান থেকে আর বুলেট থেকে।

 পৃথিবীটাকে খুব কালো দেখাচ্ছে আজ, স্বাধীনতা দিবসে ওকে হোয়াইট ডিস্টেম্পার করে দেওয়া দরকার। প্রদীপগুলোয় তেল কমে এসেছে, কিছুতেই ওদের নিভতে দেওয়া যাবে না।

নলিনী দিবস চায় না, শুধু স্বাধীনতা চায়। নীল আকাশে হেলে থাকা সবুজ পাহাড়ের তালুর ওপর দাঁড়িয়ে বোকাসোকা ময়ুরকন্ঠী পেখম মেলার স্বাধীনতা।


No comments:

Post a Comment