সোহাগ
তৃষ্ণায় ফিরেছে
আষাঢ়।শ্রাবণে তবে ধারাপাত নাকি মেঘনাদ আস্ফালন!
চাতক অপেক্ষা পর,
অবশেষে মেঘমল্লার; ঝির ঝির
বর্শামঙ্গল..............
ল্যাংটো ছেলেটা
দিব্যি মাখছে কাদা মাটি জল............
কিশোরী ব্যালকনির
রেলিং দিয়ে বাড়িয়ে দিচ্ছে হাত.........
জল ছুঁই ছুঁই
খেলায় হাত ভিজিয়ে, ফ্রক ভিজিয়ে সেও
বৃষ্টিলেখা...............
অথচ ঘর বন্দী
আমি।ইচ্ছে যতই প্রজাপতি কিংবা শালিখ,তবু ।অ্যালার্জি যন্ত্রণাদায়ক।
ভারি হিংসে
হয়।কোথায় ছেলেবেলা; আদুড় গায়ে বৃষ্টি সোহাগ!
ভেজার আনন্দ
ভোলার নয়।তবু আজ আমায় অমল কিংবা অমলকান্তি হতে হয়,সইতে হয়.....
মা
আকাশের মুখ ভার আজ।যদিও
খোলা মনে দেদার ভেসে যায় কোকিলের ডাক...........
আ-মরণ! এমন ডাকে কার
মন খাবি পোড়ামুখী।
চাবুক বাতাসে দুলে দুলে
উঠছে সবেদা ডাল,সাধের
বাঁসাখানি........
যাবে কি যাবে না ভেবে
অবশেষে
শাবক ডাক পিছনে রেখে
বাদল মেঘের গা ঘেঁষে
উড়ে গেলো মা কাক............
ওড়া ছাড়া কি থাকে
উপায়!
আশ্চর্য!এখন কোকিলের
নেই ডাক আর। সেও কী উড়ে গেলো মা কাকের সাথে..........
চাবুক বাতাসে দুলে দুলে
উঠছে সফেদা ডাল,সাধের
বাঁসাখানি.........
নিশ্চুপ নির্বাক কোকিলও
সেখানেই আছে বসে..............
No comments:
Post a Comment