Saturday, September 21, 2019

দুর্জয় আশরাফুল ইসলাম






শিমুলের বেদনা

শিমুলের বেদনা আমরা জানি না ; আমরা তার প্রস্ফুটিত হাসি দেখি
দেখি অগভীর যত আত্মীয়তাবোধ নিয়ে চারদিকে মানুষ এবং পতঙ্গ
কিছু পাখি এসে ঠোঁটে ঠোঁট সমুদ্রের গান গেয়ে চলে যায়
শিমুলের বেদনা আমরা জানি না ; আমরা জানি এই ধুলোর শহর
একদিন পুরাতনী বিয়ের রংকরা নিশানার মতোই জেগে ওঠে
অপ্রস্তুত সাজ, তবু ছায়া আছড়ে পড়া মুখের নিচে কংক্রিট শরীর
আমরা জানি না আকাশে কখন আলো করে ওঠে সত্যিকার বসন্ত মাস,
যদি না অনেক মনে পড়ে তাকে আর কবিতা চূড়ান্তে বিরহ বাজায়


সম্পর্ক

অবিচল এক পাখি বসে থাকে ; পাথুরে বলে ভুল হয়
ডানার কাপুনি নেই, দৃষ্টির স্থানান্তর নেই
যে পাখি বসে থাকে মুহুর্ত সঙ্কোচন নিয়ে এ সংকটে
তার স্থিরতা থেকে কি লিখে মহুয়ার বন!
চারদিক ঘিরে আসে অন্ধকার, গভীর কলরবে মৃত্যু -
স্পর্শের অধিকারে আসে, ক্ষতমুখ ঘিরে ধরে শীতল
 
নতজানু কোন জলের ধারা
কোন কথা নেই অবশিষ্ট 
পাখিটির ভাজ করা জামার ভেতর সব লুকোনো ;
সম্পর্ক একটা মিহি ঢেউয়ের মতো হাওয়ার আন্দোলন,  
হারাতে গিয়ে দূরে কোথাও একটা স্বর রেখে যায়,
একটা খেয়ালি নদীর মতো এ জীবন আজ স্থির পাখি,
 
স্থির ধর্মের পাশে বসে দেখে পাড় সেজেছে ঘাসফুলে ;
দৃশ্যের আড়াল, এক বেদনা থাকে শুধু, বন পেরোতে,
নদীর ঢেউকে শুইয়ে দিয়ে স্থির পাথর হতে দিতে দিতে
সমাদৃত সমাপন থাকে বা না থাকে, কি আসে যায় আর!

সারল্য

কে যে কোন সারল্যের কথা বলে চলে
আড়ালে জলপতনের শব্দের ভিড়ে
কিছুই আঁচ করা যায় না।

কে যে কোথায় ফুল ফোটায়। চারিদিক
বাগানের সাজ তবুও কোথাও নাই
তার দেখা। শুধু কাঁটার চিহ্ন।

কোথায় যে মানুষ আত্মহত্যাপ্রবণ হলো
তার হদিশ নিয়ে প্রকাশ্য আলোচনা
অথচ রাষ্ট্র নির্মিত আগুন ফাঁদ,

চারদিক ঘিরে ধরেছে। যত লোকারণ্য।

No comments:

Post a Comment