প্রাসাদ,
শূন্য প্রাসাদ
ঘনকৃষ্ণ রাত
প্রাসাদ প্রাঙ্গণ শূন্য, শূন্য চারিধার
এইবার
গরম তাওয়ায় তোলো
ধীরে
ধীরে
ধীরে
ধীরে
পিঠের চামড়া উঠে তলতলে হোক মাংস
ভীরু ঘেয়ো তোরণের উপর, পুঁজ ঢেলে দেওয়ার সমারোহ
ফুলে ফুলে উঠুক
মাথার খুলির কাছে ভেসে আসছে চিরে যাওয়া নাড়ি
আমিও আঁধার নিয়ে খেলা করি, খেলা করতে পারি
ধীরে
ধীরে
ধীরে
ধীরে
চর্বি, হাড়ের দলা, নিমগ্ন শরীরী অবগাহন
পুড়ে যাও পুড়ে যাও পুড়ে যাও সমস্ত সন্তর্পণ
শিশু না হওয়ার মন্ত্র
যৌনতায় আঙুল চোবানো
সে আঙুলে নখ রাখও, যে নখ জরায়ু ছিঁড়ে আনে!
মরে যাওয়া পাখি ভরে আসে
একলা দাওয়ার পাখনায়
রাত্রির প্রগাঢ়তা মেশে
মেশে মেয়েটির নয়নে
একলা দাওয়ার পাখনায়
রাত্রির প্রগাঢ়তা মেশে
মেশে মেয়েটির নয়নে
কে যেন ডাকিল বহুরাত
উঠে চলে গেল তার দেহ
পড়ে থাকে ছায়া পড়ে থাকে
মেঝেতে একলা শুয়ে শুয়ে
উঠে চলে গেল তার দেহ
পড়ে থাকে ছায়া পড়ে থাকে
মেঝেতে একলা শুয়ে শুয়ে
চোখে তার জল এল কি
গড়িয়ে পড়ল টুপ করে
আঁধারে শব্দ হল যেন
শুষে নিল আহত দেবতা
গড়িয়ে পড়ল টুপ করে
আঁধারে শব্দ হল যেন
শুষে নিল আহত দেবতা
এ প্রাসাদে কেউ থাকে না
এ প্রাসাদ অভিশপ্ত
পচনের দুর্গন্ধ
আর বমি মাখে রাতের বিরহ.........
পিতা
এ প্রাসাদ অভিশপ্ত
পচনের দুর্গন্ধ
আর বমি মাখে রাতের বিরহ.........
পিতা
বিস্মৃতির
কাছে আমি বসে থাকব আজীবন ধ'রে
কে আমার সান্ত্বনা রাহু যদি গর্ভ গ্রাস করে!
কে আমার সান্ত্বনা রাহু যদি গর্ভ গ্রাস করে!
পড়ে আছে ঝুঁটি বাঁধা
পুতুলের আব্রুহীনতা
খেলত যে নিয়ে তাকে সেই আজ শ্মশান শ্মশান......
খেলত যে নিয়ে তাকে সেই আজ শ্মশান শ্মশান......
পুড়ছে নাড়ির টান, জ্বলছে চোখের
উপশিরা
সে আমার সন্তান, অবৈধ রাতের প্রতিমা
সে আমার সন্তান, অবৈধ রাতের প্রতিমা
তোদের শিশুর মত মুখে তার শ্রী ফুটেছিল
তোদের উদযাপন বিঁধে যায় বুকের হত্যায়
তোদের উদযাপন বিঁধে যায় বুকের হত্যায়
সে-ও তো জন্মেছিল, বাবা নামে
ডেকেছিল তোকে
পিতৃত্বের দায় গলা ছিঁড়ে দিয়েছিল ওর!
পিতৃত্বের দায় গলা ছিঁড়ে দিয়েছিল ওর!
আজ এত অন্ধকার, দেখতে পাই না আমি
কিছু
আলোটা জ্বালাও ওগো তুলসীতলায় ও যে কাঁদে
আমাকে খুঁজছে ওর কচি ফড়িংয়ের মত হাত
শ্মশানে যাবি না তুই নিজের মেয়েকে পোড়াতে???
আলোটা জ্বালাও ওগো তুলসীতলায় ও যে কাঁদে
আমাকে খুঁজছে ওর কচি ফড়িংয়ের মত হাত
শ্মশানে যাবি না তুই নিজের মেয়েকে পোড়াতে???
No comments:
Post a Comment