Monday, September 23, 2019

প্রগতি বৈরাগী







বিপজ্জনক ওঁৎ

গতকালের টাঙানো পর্দা আজ সরে যাচ্ছে। আমি বেরোতে পারছি না। এই বিষণ্ণ প্রগলভতা সরিয়ে কোনো বটগাছের কাছে পৌঁছোতে পারছি না আমি। কাচে ঢাকা জানালা আজকাল ভালো লাগে না। আলোর মন্দ হয়ে আসা আমাকে জীবন নিয়ে ভাবতে বলে। আমি জীবনদাকে স্কুল ছাড়ার পর আর দেখিনি, এখন কোথায় আছেন, খবর নিতে হবে।

আজকাল কারো খবর নিতেও ভাল্লাগে না। একটা পাখি ঢুকে পড়বে ভেবে বারান্দার দরজা খুলে রাখি। ঝড় আসে। আসে আরো যা যা না-হলেও পারত, আমি সবাইকে সার দিয়ে দাঁড় করাই। হাতে স্কেলের বাড়ি মারতে মারতে, বুঝতে পারি, আমার হাতেও লাল দাগ পড়ে গেছে কখন।

লাল দাগ দেখলে আজকাল অন‍্য অন‍্য মনে পড়ে। চোখ বুজে ফেলি। আমার গায়ে ফুটে ওঠে অ‍্যালার্জির মতো মনখারাপ। কোনো ওষুধেই সারবে না এমন কিছু কথা ঘুরে বেড়ায় চারপাশে। আমি মুঠো ছুঁড়ে তাদের ধরার চেষ্টা করি। তারা হাত মুচড়ে আমাকে সারেন্ডার করতে বলে।

কেন আমাকেই এমন সইতে হবে? নীল একটা বিছানার ওপর শুয়ে কেন আমাকেই ভাবতে হবে কাল কী করব? মাথার ওপরে পাখা ঘুরে ঘুরে মুখস্থ হয়ে গেছে। মাথার পাশে তুমি। আজকাল নতুন কোর্স করতে ইচ্ছে করে। ট্রেন ছেড়ে মেট্রোয় চাপতে ইচ্ছে করে আজকাল। বড়জোর, উঠে পড়ি, চাদর বদলাই বিছানার। এছাড়া আর কোনো বদল আমাকে তোমার থেকে সরিয়ে দিতে পারে? ...আমি সরে যেতে চাই। তোমার দিকে আঙুল নাচিয়ে বলতে চাই, ‘এদিকে আয়’। এত না-পাওয়া নিয়ে বেঁচে থাকা পোষাচ্ছে না আর। ঘুমিয়ে পড়ব? কেউ কেউ ঘুমের মধ্যেও আনন্দ পেতে পারে। আমি, উড়তে পেরেও তোমাকে ঠুকরে দিচ্ছি না কেন!

No comments:

Post a Comment