সিনেমা
কখনও চিৎকার করি|
আকাশ প্রতিবাদ করে, বাতাস প্রতিবাদ করে|
শিল্টঙের মেষ্টা পাটের খেতে গিয়ে|
সেই শব্দ দরং রাজ-বংশাবলী হয়ে যায়...
হাউড়ি পেরনোর আগেই আমি|
আজকাল টোটোদের রাজা হয়ে উঠি|
আমার শালগ্রাম শিলা থেকে|
আসিরিয় কৃষ্ণাসুরের জন্ম হয়|
আজকাল গাঠিয়া পাহাড়গামী সব বাস থেকে|
শুধু কিছু চিঠি নামে|
শুধু কিছু ছদ্মবেশী যাত্রী নামে|
আড়াল থেকে আমি দেখি|
এরা কেউ চিঠি নয়, এরা কেউ|
এয়ারপোর্ট নয়, যাদবপুর নয়|
চুপ করে, অন্ধকারে, পাজামা-পাঞ্জাবি পরে|
বাতানুকূল ঘরে বসে|
বাংলা সিনেমা দ্যাখা|
আকাশের দিকে চোখ রেখে|
চিৎকার করা এক নয়।
পাথরচন্দ্রের কবিতা
একটি পাথর আছে|
জলঢাকার জাগ্রত পৃথিবীর কাছে যার কোনও দাবি নাই|
সে কেবল নাম ধরে ডাকে আমাদের|
প্রাণ ধরে ডাকে আমাদের|
জল জঙ্গল আকাশ বাতাস আর|
কালিম্পঙ নিয়ে তার পার্বত্য সংসার|
তারই জীবনের বার্দ্ধক্যরেখা ধরে|
আমি হাঁটি, বড় হই, বিয়ে করি|
হয়তো তাই আমি আজ এক পাথরকন্যারই পিতা|
আমি যেমন পাথরের ছবি আনি ঘরে|
সেও আমার বাউদিয়া যৌবনের ছবি এঁকে রাখে|
আমাকে একান্তে পেলে বলে,|
'তুইই তো আমাদের সন্তোষ মিস্তিরি,|
তুই তো পাথর বংশ-জাত, তোর রক্তে|
ভিজেই তো বেঁচে আছি। তোর চোখ দিয়েই তো|
দেখি ওই নীলাকাশ...'|
একদিন পাথর আমাকে বলে,|
'আমিও তো নন্দনে যাই,|
পাথরের দরবারে সন্তোষ সূত্রধরকে নিয়ে লেখা|
কবিতা পড়ি, পাথরেরা মন দিয়ে শোনে...'
No comments:
Post a Comment