Tuesday, September 24, 2019

বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়






তাড়কা রাক্ষসী

জলকিত শবাধারে যদি শুনি কৃতান্তের হাসি
ঈশ্বর শঙ্কিত হন,এক মাতা
দুই পুত্র দোষী
তার মানে তুমি আছো
পুরাণের তাড়কা রাক্ষসী।
উচ্চকিত তোমার বৈভব
জলে ভেসে যায় কার শব!

তীক্ষ্ণ বিভাজিকা আর পায়ু মরীচিকা
চেটে খাও অনাঘ্রাতা
উদ্যান বালিকা।
মৃত্যু তবু নির্ধারিত, অকারণ রক্তে করো স্নান
দানব  হত্যার পর ধ্যান গ্রন্থে খলিল জিব্রান..



টি ভি যুদ্ধ

টিভি শো য়ে পরাজিত , যদি ফিরে আসি?
ফের করি সুন্দরের স্তব,
নীলিমার সঙ্গে যদি জুড়ে দিই/একান্ত অর্ণব?

গণিকা রা যদি হাঁটে, সাবলীল,মণিকর্ণিকায়
ভিখারিরা কাগজের তরণী  ভাসায়...
পতাকা মিনারে বসে গান গায় কোহেন,সীগার
তার মানে, তুমি নেই আর।


সেপাই

তোমার রহস্যে আমি ঘনশ্যাম হাতটি রেখেছি
যে হাত বাঁশি তে বাজে
মন মোর মেঘ সুরে গায়
আমার হৃদয়ে নাচে 
দুটি মাত্র হৃদকম্প তার
আমার সকল ইচ্ছা ভাদ্রমাসে তোমা পানে ধায়।

শোনো ওগো ক্ষেত্রনারী তুমি নাকি কবিতা ও লেখো?
নৈঃশব্দ্য কুহকে ভরো অক্ষরের সব অলঙ্কার
তোমার কপাট খোলা, লোকে বলে নরকের দ্বার
সুগন্ধি মৃগীর মতো সুবাসিত নম্র তটরেখা...
 তোমার খাঁচার পাশে উড়ত যে বালিহাঁস দুটি
বর্ষা র আকাশ পেয়ে নাবিকের মতো ভাসে যারা
যে হাত বাঁশিতে বাজে,ঐ হাতে পাঠাও ইশারা
তোমার খাঁচায় যেন এক রাত্রি থাকিবারে পায়।

নিজেকে পাঠাই তবে, এই প্রশ্নে সাড়া নাহি পাই
তোমার রহস্যে আমি তালকানা সামান্য সেপাই।






No comments:

Post a Comment