ডাক
তাহলে কি অন্যকোনো
অলিগলি ডাকছে আমায়?
পূর্বজন্মের
স্মৃতি?
ইতালি ভেনিস থেকে
রোম?
অথবা, গ্রীস সিরিয়া প্যালেস্তাইন?
লিওনার্দো
মিকেলাঞ্জেলোর সঙ্গে আড্ডা দেব আমি।
আমার শিল্পবোধ, মুগ্ধতা সব তাঁকেই জানাবো
অথচ ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন
এইসব চাপানোতর
নিয়ে একটা কথাও বলবো না।
প্রতিদিন যে
জুয়ারি মৃত্যুকে হারিয়ে দিয়ে
বেয়োনেটের উদ্ধত
নলের সামনে থেকে
জীবনকে জিতে
নিচ্ছে অথবা
জীবন নিজেই
জিতিয়ে দিচ্ছে মৃত্যুকে
আমি সে বিষয়েও
কোনও কথা বলব না।
শুধু নতজানু হয়ে
শিল্পীর পা চুম্বন করব
আর আশ্চর্য এই
ভ্রমণে মুগ্ধতা জমা রেখে যাবো।
বৃষ্টি ও এক আশ্চর্য দুপুর
ঝরে পড়া শিউলি ফুলের মতো বৃষ্টি ফোঁটায় বেঁটে
কলাগাছগুলোর সাথে আপেলের আচারের শিশিটাও ভিজে যাচ্ছে। কেরালা থেকে আনা আপেল। সেই
থেকে ভিজছে আচার, রোদে জলে বেঁচে আছে।
ইউক্যালিপটাসের বন জঙ্গলও ভিজল সেদিন।
“কফি কুর।”
দক্ষিণী যুবতীর হাতে ধোঁওয়া ওঠা কফির কাপ। বাইরে দুটো কুবো পাখি একসাথে ভিজে
যাচ্ছে। জানলা দিয়ে বৃষ্টি দেখতে দেখতে দুজনেই আচারের শিশিটাকে দেখল। অথচ তার আর ঘরে ফেরা হল না।
বৃষ্টি এলে এলোমেলো ক’টা তুচ্ছ বিষয় ভুলে যাওয়া যেতেই পারে। দাঙ্গাহাঙ্গামার মতো হুড়মুড়িয়ে বৃষ্টি এলে খুব চেনা একটা ছোটোগল্পও আর এগিয়ে যেতে পারে না।
পাখির বাসা ভেঙে পড়ে। বাড়ির জানলা দিয়ে হিচককের ‘রিয়ার উইণ্ডো’-র সঙ্গে গল্পটা চলে গেল ভাঙা বাসার দিকে।
বুঝিবা ডিম ছিল বাসায়। কাছাকাছি কোথাও ঝোপে বা উঁচু গাছের ডালে বসে আছে পাখিটা। তাকে আর দেখা যাচ্ছে না। ডিমগুলো পড়ে আছে উঠোনের ভিতে। ভেঙে যাওয়া কুসুমের গান, সে এক আশ্চর্য দুপুর। যে দুপুরের ভাষা এই বহুভাষী দেশে চিত্রকল্পে সবকিছু এক করে দেয়। চেট্টিনাদের দুপুর আর ইয়ালু ফুলের বাগানে দুই কিন্নর যুবতীর খুনসুটি মিলে যায়।
আরে ব্বাস! দারুণ কবিতা...
ReplyDelete