ইষ্টভঙ্গ
----------
এই যে,এই বিমর্ষ বেলা
এই যে শান্ত নদীদেশ
এখানে সূর্যের আগে ঘুমন্ত শিশুরা ঢুলেপড়ে, মোহময় পরিব্যাপ্ত ঘুমে,
সাঁঝের রমনী যারা কাজ ফেলে সিক্ত হয়
করতলগত স্নান জলে।
এখানে গ্রামের প্রান্ত,এ-প্রান্তের নিবুনিবু চাষির আকুতি
কান্না হয়ে মিশে যায় নদীর কিনারে।
ফসল-দরিয়া থেকে শষ্য ওঠে ক্লান্ত,নধর...
গোরুরগাড়ির রাস্তা ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হয়
এখানে সবুজ বাষ্পে ভরে ওঠে মনের দ্রাঘিমা
অক্ষরেখা ধরে ধরে একটি-দুটি তিতলি ছুটে এলে
বিষাদশূন্যতা এই দেশে
ক্ষয়ের প্রাচুর্যজুড়ে জাগতিক স্বপ্নের ইষ্টভঙ্গ
হয়।
তিলোত্তমা
----------------
কথার উপরে সুর যেভাবে বসেছে,
যেইভাবে ধরা পড়ে নিখিলের আনন্দ-বিষাদ,
সেই এক সাংগীতিক প্রাণ যার ঠোঁটে খড়কুটো----
বাসা কি বানাবে?
হয়তো-বা ভেসে যাবে আলো-আঁধারির গুঞ্জরণে,
হয়তো-বা লেখা থাকবে ঝরোখার স্মৃতি,
হয়তো তোমার বুকে বুক দিয়ে বদলে দেবে মর্মের আকৃতি,
কী-বাসা বানাবে?
ঝরোখা জানে না,তুমিও জানো না, শুধু
একপ্রস্থ অনাবিল আলো
তিলে তিলে তোমায় বানাবে----তিলোত্তমা।
No comments:
Post a Comment