Tuesday, September 24, 2019

পার্থজিৎ চন্দ














বিষ
কোবাল্ট-আকাশ থেকে জন্ম নেওয়া অনিবার্য ঘাতক আসলে হিমরাক্ষস

ছিন্নভিন্ন, শঙ্করমাছের রক্ত শুষে নিচ্ছে বালি ও সমুদ্র
নুন ও রক্তের মাঝখানে ঘোরাফেরা লাল-কাঁকড়ার গায়ে ছায়া পড়ে আছে
কোবাল্ট রঙের। দূর ড্রাই-ডক থেকে আরও দূর
নির্জণ জেলেবস্তির পাতার দেওয়ালে কোবাল্ট-বর্ণ
চেটে খাচ্ছে হিমরাক্ষস

এক ফলসার বনে কোবাল্ট-প্রহর ঘনিয়ে উঠেছে

এক রাক্ষস-শিশুর দাঁতে ছিঁড়ে নেওয়া স্তনবৃন্ত কোবাল্ট রঙের

ধাতুছায়াপথে ... রক্তগঙ্গায় হিমরাক্ষস এই সব দেখে
তারপর চুপচাপ সমস্ত মায়ের দুধে কোবাল্ট রঙের বিষ ভরে দেয়


রক্ত

প্রতিভাদেবতার কার্পণ্য নেই, তাই
অসম্ভব তেজস্ক্রিয়তার দিকে অ্যকোয়ারিয়ামের আলো জ্বলে ওঠে

তোমার দু’হাতে ইচ্ছামৃত্যুভার; দু’পায়ে ঘোড়ার উড়ান

স্যানেটোরিয়ামে উন্মাদ রেখে নেমে আসছে
পুরানো-মডেল গাড়ি (সে-উন্মাদ ক্যানভাসে নিজের দু’চোখ গেঁথে দিয়েছিল)
গাড়িটির গায়ে ছায়া ফেলে আছে দীর্ঘ পাইন

দিন দিন তোমার প্রতিভা আকাশ ছাড়িয়ে মহাকাশগামী

কেশর দেখেই বোঝ কোন ঘোড়া জ্যাকপট দেবে

শুধু রেসকোর্সের ধারে মাথা গুঁজে বসে
মাঝে মাঝে দেখ এ-মাঠের নীচে কালো গহ্বর
নিভে আসা খুরের শব্দ
অন্ধকারে শুয়ে থাকা এক বদ্ধ-উন্মাদ
পুরানো সিরিঞ্জে নিজের রক্ত ভরে ছিটিয়ে দিচ্ছে
তারাভরা আকাশের দিকে 

দোতারা

হরিণ-চোখের মতো এ-বিকেল সুন্দর
যার হাতে রক্ত লেগে আছে সে আমায় হত্যা করেনি

যে আমায় হত্যা করেছিল
তাকে আমি চিনি। তার হয়ে সাক্ষ্য দিতে আসি
বারবার; আসমান থেকে দোতারা নামাই
শুধু একটি সুর। তারপর

আর কিছু নেই

স্তব্ধ চরাচর

হরিণ-চোখের মতো এ-বিকেল সুন্দর





1 comment:

  1. রক্ত ও দোতারা দুটি অসামান্য কবিতা।
    কবিকে নমস্কার।

    ReplyDelete