কথার কঙ্কাল
১
তোমার
তীক্ষ্ণতাও এখন ভোঁতা লাগে খুব।
প্রতিদিন সকালের
দিকে তুমি বসে যাও নিজস্ব জাজমেন্ট
সভা কর নিজেকে
কেন্দ্রে রেখে। তুমি দেখ পরিপার্শ্ব গলে যাচ্ছে
তুবড়ে যাচ্ছে বড়
বড় মেটাল সংসার
তুমি দেখ উড়ে
যাচ্ছে খড়ের মতন সব বাড়িঘর... চাকচিক্য দেখে দেখে দেখে
তারপর নতুন বিবর্ণতা
জন্ম নিচ্ছে।
তীক্ষ্ণ চোখে
এইসব দেখ আর ক্রমশ তীক্ষ্ণতা পুড়ে যায়
চোখ বন্ধ হয়ে
আসে।
ক্রমশ তোমার এই
চালাক বোদ্ধা অবয়ব
জলের মতন গলে
বোকা হচ্ছে, বোকা হচ্ছে, তুমি
হদ্দবোকার মত
পরিপার্শ্বের মধ্যে আরো একটা ভাঙাবাড়ি হয়ে
ভাঙা ও দুমড়োন
খেলনা গাড়ি হয়ে গড়িয়ে পড়েছ
২
কবি না কি
দ্রষ্টা কোন। এমুহূর্তে তারই বিনির্মাণ
ছড়িয়ে ছিটিয়ে
যাওয়া ছেঁড়া সব পতাকা ও খেলনার ভেতর
ক্রমশ দেখেছ...
আর দেখা, সেও ছিঁড়ে গেছে ক্রমে।
তারপর পতপত
হাওয়ায় উড়েছে শুধু টুকরো বেঁচে থাকা।
আশ্বিনের রোদের
মতন ঘুরে গেছে তার নিজস্ব সে উজ্জ্বলতাখানি
হঠাৎ বিকেল মুখে
মরে যাওয়া সেই সব মেধার ধাঁধালো বাতায়ন
রোজ এত কথা বল, এত এত কথা বল, কথা থেকে ঝুরঝুর
ঝরে পড়ছে
কবি -অবয়ব।
৩
মনে ছিল
বাক্যবন্ধ। প্রায় যেন মোক্ষলাভ , মন্ত্রোপম সত্যের বচনে
পক্ষিবিশারদ
ডেকে কবির পালক খুঁটে সত্যাসত্য বিচার করেছ।
তারপর এসেছে সে
মিথ্যাসত্য উত্তীর্ণতা। কোথায় কখন
ডেকে নিয়ে গেছে
সব সততাসামলানো
কথাগুলি...।
কথায় কথায় গেল
দিন।
এখন বাতাস থেকে
ধার চলে যায়
এখন কথার থেকে
কথা চলে যায়
এখন বুদ্ধির
থেকে তীক্ষ্ণতা হারায়
এখন লজ্জার থেকে
সরে যায় পাতলা সরখানি...
কী উলঙ্গ কী
অসহ্য কী নীরব কথার কঙ্কাল পড়ে আছে
No comments:
Post a Comment